সাতক্ষীরায় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের দিনব্যাপী পৃথক চারটি অভিযানে পাখি ধরার বিপুল পরিমাণ ফাঁদসহ দেশী ও পরিযায়ী পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে অভিযান চালানো হয়।
উক্ত অভিযানে নেতৃত্বদেন বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জি এম মারুফ বিল্লাহ, অফিস স্টাফ আয়ূব আলী।
উদ্ধারকৃত পাখিগুলো উন্মুক্ত বিচরণের জন্য সুবিধাজনক স্থানে অবমুক্ত করা হয়েছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সামাজিক বন বিভাগ যশোর সার্কেলের সহযোগিতায় সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের পাখি ধরা শতাধিক লোহার ও নাইলনের ফাঁদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তিনটি পানকৌড়ি,একটি গ্রেটইগরেট, একটি ধুমনিবক জব্দ করা হয়। একই এলাকার বাগমারা বিল থেকে নয়শ ফিট নাইলনের ফাঁদ জব্দ করা হয়।
দুপুরে কুশলিয়া ইউনিয়নের কালিগঞ্জ শহরের ফুলতলা মোড় থেকে কালিগঞ্জ পাখিঘর থেকে তিনটি খাঁচায় বন্দি টিয়াপাখি জব্দ করা হয়।
দেবহাটা উপজেলা পারুলিয়া ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের আন্তর্জাতিক পাখি পাচার চক্রের সদস্য আমিরুল ইসলাম মধুর ডাক্তারের বাড়ি থেকে ছয়টি কালীন, একটি স্বরালী ও একটি পাহাড়ি ময়না পাখি জব্দ করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মুচলিকা পত্র নেয়া হয়। তবে, অভিযান চলাকালে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা যায়নি।
বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা জানান, গরম হোক বা শীত হোক কিছু অসাধু পাখি শিকারী আইন অমান্য করে পাখি শিকার করে। বিশেষ করে, শীত মৌসুমে বিপুল সংখ্যক অতিথি পাখি এদেশে আসে। তাদের লক্ষ্য করে পাখি শিকারি চক্রের সদস্যরা অতিথি পাখি শিকার করে। শুধু পাখি নয় বণ্যপ্রাণী ও পাখি শিকারীদের জন্য আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং পাখি শিকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বিপন্ন প্রজাতির ৩টি হনুমান উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
আল/ দীপ্ত সংবাদ