দেশব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ তিনদফা দাবিতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশে বসবাসকারি হিন্দু, মুসিলম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সকলে অংশ নিয়েছিল। হিন্দু মা ও বোনেরা অন্যদের সঙ্গে ধর্ষিত হয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে হিন্দুরাও ছিল। অথচ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও হিন্দুরা অবহেলিত, নির্যাতিত , নিপীড়িত ও নিষ্পেশিত। ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইস্তেহারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের পরিবর্তে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ১৯১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ, দেবোত্তর বোর্ড গঠন ও হিন্দু ফাউণ্ডেশন বাস্তবায়নসহ সাতদফা দাবি বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিল। দুঃখের বিষয় গত সাড়ে ১৪ বছরেও আওয়ামী লীগ তাদের ইস্তেহার অনুযায়ী হিন্দুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করেনি। এর ফলে হিন্দুদের জমি দখল, নাবালিকা মেয়েদের ফুসলিয়ে নিয়ে আইন বহির্ভুতভাবে ধর্মান্তরকরন, হিন্দুদের উপর হামলা, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মিথ্যা মামলা দেয়ার ঘটনা চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না।
তাই আজ বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ তিন দফা দাবিতে দেশব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে। আগামী সংসদীয় নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকার এসব দাবি না মানলে তারা বৃহত্তর কর্মসূচি নেবে।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন।
রঘুনাথ খাঁ/পূর্ণিমা/দীপ্ত নিউজ