মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া নৌরুট ঘন কুয়াশায় বন্ধ থাকার সাড়ে চার ঘণ্টা পর চালু হয়েছে। এতে উভয়ঘাটে কয়েকশো যানবাহন আটকা পড়ায় যাত্রী ও যানবাহনের শ্রমিকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ১৫ মিনিট থেকে বেলা ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া নৌরুট বন্ধ রাখা হয়।
কুষ্টিয়াগামী ট্রাক চালক লুৎফর মিয়া বলেন, কুয়াশায় ঘাট বন্ধ থাকায় আধা বেলা সময় নষ্ট। ঘাটে আটকা থাকায় খাওয়া থাকার খরচও বেড়ে যায়। সঠিক সময়ে মালামাল না পৌছে দিলেও মহাজনের লোকসান হয়। ঘাটে আটকা মানেই ভোগান্তি।
রাজবাড়ীগামী যাত্রী রোকসানা বেগম বলেন বলেন, ঘাটে আটকা পড়ায় শিশু বাচ্চাদের নিয়া ভোগান্তিতে পড়েছি। পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় বেশি ভোগান্তি হচ্ছে। বাসের ভিতর বসে থেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।
মোতালেব হোসেন নামের আরেক যাত্রী বলেন, সাভারের একটি পোশাক কারাকানায় কাজ করি। জরুরি প্রয়োজনে দুদিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। ছুটির একদিন তো ঘাটেই কেটে গেলো।
পাটুরিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৪টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। নৌরুটে শাহ পরান, কেরামত আলী, খান জাহান আলী, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বিএস ডা. গোলাম মাওলা, বাইগার, ঢাকা, ভাষা শহীদ বরকত, শাহ মখদুম, হাসনাহেনা নিয়মিত চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সালাম হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে আসে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে সাড়ে চার ঘন্টা এ নৌরুট বন্ধ থাকে। বেলা ১০ টা ৪৫ মিনিটের দিকে কুয়াশা কেটে যাওয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। উভয় ঘাটে আটকা পড়া যানবাহন ও যাত্রীদের সিরিয়াল অনুযায়ী পারাপার করা হচ্ছে।
জাহিদুল হক চন্দন/এজে/দীপ্ত সংবাদ