দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা–১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। অপর দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নড়াইল–২ আসনে তার ওপর আস্থা রেখেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দল।
আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিলো ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই শেষে ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনি প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা।
বাদ যায়নি সাকিব– মাশরাফিরাও কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন তারা। সমর্থন পেতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
তবে ভিন্ন চিত্র ফুটবলার আমিনুলের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের ফুটবলে সর্বোচ্চ সাফল্য পাওয়া দলের নায়ক তিনি। ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো (এবং এখন পর্যন্ত শেষবারের মতো) সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ফাইনাল খেলায় টাইব্রেকারে দুটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন আমিনুল। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন।
সেই আমিনুলের হাতে এখন হ্যান্ডকাফ, পুলিশের কাছে রিমান্ডে দেওয়া হয় বারবার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২৮ অক্টোবর তিনি পুলিশকে আক্রমণ, ধ্বংসযজ্ঞ, নাশকতার মতো ভয়ংকর অপরাধ করেছেন বিএনপির একজন নেতা হিসেবে। এক সময়ের মাঠ কাঁপানো ফুটবলারের স্থান এখন কারাগারে।
কারাবন্দি আমিনুল হক গুরুতর অসুস্থ বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। আমিনুল হকের স্ত্রী বিলকিস আরা নিপা জানান, কারাগারে যাওয়ার আগে থেকেই আমিনুল হক অনেকটা অসুস্থ ছিলেন। দুই দফায় এগারো দিনের রিমান্ডে নেওয়ায় সেটা আরো তীব্র হয়েছে। রিমান্ডে থাকাকালীন সময়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গত ৬ ডিসেম্বর পুলিশ হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা করে কিডনীতে পাথর ধরা পড়ে। তার সুচিকিৎসা জরুরি।
লেখক: মির্জা শাখেছেপ
সংবাদকর্মী