ব্যাটে ও বলে ফর্মে নেই বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চলমান টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই ম্যাচই ব্যর্থ সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বল করেছেন এক ওভার। তবে সাকিবের ব্যর্থতা আরও বড় হয়ে ফুটেছে ব্যাট হাতে। দু–ম্যাচেই দলের চরম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছেন সাকিব।
সাকিবের বয়স এখন ৩৭। সেই সঙ্গে চোখের সমস্যায়ও ভুগছেন। গোটা ক্যারিয়ারেই অবিশ্বাস্য ধারাবাহিক সাকিব গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই ভুগছেন ফর্মহীনতায়। ব্যাট কিংবা বল; কোনটাই ঠিকঠাক হচ্ছে না তার। সবচেয়ে বড় কথা দলের সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড় হয়েও দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে প্রতিবার উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসছেন তিনি। দলের বিপদে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পুরোপুরি ব্যর্থ
লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাটে–বলে ব্যর্থ সাকিব আফ্রিকার বিপক্ষে ফর্মে ফিরবে বলেই আশা করেছিল সবাই। কিন্তু নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে প্রথম ওভারে ৬ রান দেয়ার পর তাকে আর বোলিং দেননি অধিনায়ক শান্ত। ব্যাট হাতে ফুরফুরে সাকিবকে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হলেও সে ভূমিকায়ও হয়েছেন ব্যর্থ।
২৯ রান দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ধুকছে তখন তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গ দেয়ার বদলে আনরিখ নরকিয়ার শট বলে অযথাই পুল করে ছুড়ে দিয়ে এসেছেন উইকেট। ৪ বলে ৩ রানের ইনিংস দলের বিপদই বাড়িয়েছেন তিনি।
এদিকে আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের পর সাকিবের কড়া সমালোচনা করেছেন ভারতের কিংবদন্তি ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ। সাকিবের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে অবসর নেয়ার পরামর্শ পর্যন্ত দিয়েছেন সাবেক এই বিস্ফোরক ওপেনার।
ক্রিকবাজের অনুষ্ঠানে শেবাগ বলেন, ‘আপনি (সাকিব) একজন এতো সিনিয়র খেলোয়াড়, আপনি অধিনায়কও ছিলেন এতদিন, আর এরপরও আপনার এতো বাজে গেমসেন্স! আপনার নিজেরই তো লজ্জা হওয়া উচিত। “অনেক হয়েছে, টি–টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিচ্ছি।” –এটা আপনার নিজেরই বলে দেয়া উচিত এখন।‘
এ সময় নিজেকেই উদাহরণ হিসেবে টানেন শেবাগ, ‘আমি তো দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিশ্বকাপে…..যখন আমরা শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ খেলছিলাম, তখন আমি অনুধাবন করলাম, ডেল স্টেইন, মর্নে মরকেল, আফগানিস্তানের একজন বাঁহাতি ফাস্ট বোলার ছিল, তাদেরকে মারতে পারছি না, তখনই তো আমি সিলেক্টরদের বলে দিয়েছিলাম, আমাকে যেন আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বিবেচনা না করা হয়। আমি শুধু ওয়ানডে ও টেস্ট খেলতে চাই।‘
এই অনুষ্ঠানে শেবাগ জানান, টি–টোয়েন্টিতে আরও আগেই সাকিবের অবসর নেয়া উচিত ছিল।