কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন স্থানে গত রাতে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ভারতে সর্বদলীয় বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে পেহেলগাঁও হামলা নিয়ে গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় এখন ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। যা দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়িয়েছে।
ভারতের সেনাবাহিনীর বরাতে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার একাধিক স্থানে পাকিস্তান থেকে প্রথমে গুলি ছোঁড়া হয়। পরে তার জবাব দেয় ভারতের সেনাবাহিনী।
পেহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে এরইমধ্যে সর্বদলীয় বৈঠক করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এসময় উপস্থিত সবার সামনে পর্যটকদের নিরাপত্তা ঘাটতিসহ গোয়েন্দা ব্যর্থতা স্বীকার করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি জানান, প্রতিটি রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছে এবং এই পরিস্থিতিতে সরকারের যেকোনো পদক্ষেপে বিরোধী দলগুলো সর্বাত্মকভাবে সমর্থন করবে।
আলাপ–আলোচনার পাশাপাশি পেহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার জেরে কাশ্মীরজুড়ে চিরুনি অভিযান অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায় সেনাবাহিনীর এমন অভিযানের সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।
কাশ্মীরে বন্দুক হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনের বাড়িও বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে দুই সন্দেহভাজন আদিল হুসেন থোকার এবং আসিফ শেখের বাড়ি বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায়।
এদিকে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে আলোচনাই পারে বর্তমান সংকট নিরসন করতে। তবে ভারত যদি হামলা করতে চায়, পাকিস্তান কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এতে সর্বাত্মক যুদ্ধ হবে।
ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থার মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, দুই দেশকেই সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়েছেন।