চলতি বছর জনশক্তি রপ্তানি আশাব্যাঞ্জক হলেও, আগামীতে এই খাত ও প্রবাসী আয় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। এ অবস্থায় জনশক্তি রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ করার পাশাপাশি দূতাবাসগুলোকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বায়রা।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এক কোটি ২০ লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছেন। প্রতিবছর গড়ে ১০ লাখ কর্মী বিদেশে গেলেও, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসেই ১০ লাখ কর্মী বিদেশে গেছেন। দেশের মোট রেমিট্যান্সের শতকরা ৫৫ ভাগ আসে প্রবাসী আয় থেকে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী বেড়ে গেছে প্রবাসীদের জীবনযাত্রার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে। গত সেপ্টেম্বরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ইউএস ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত সাত মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।
জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রা বলছে, পুরনো শ্রমবাজারের বেশ কয়েকটি বন্ধ রয়েছে। মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া ও ইতালির শ্রমবাজারে সম্ভাবনা থাকলেও তা কাজে লাগাতে জোরালো উদ্যোগ নেই।
শ্রমবাজারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু দেশের ওপর নির্ভরতা সামনের দিনগুলোতে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। তাই দক্ষ জনশক্তি রপ্তানিতে জোর দেয়ার পরামর্শ তাদের।