আদালত অবমাননা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমিনুল গনি টিটুকে শুনানি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১। তার স্থলে নতুন স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আইনজীবী আমির হোসেন।
বুধবার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মামলা প্রস্তুতির জন্য অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োজিত সুপ্রিম কোর্ট জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এন ওয়াই মশিউজ্জামানকে ১ সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২ জুলাই।
সাধারণত আদালত অবমাননা মামলায় আসামিপক্ষের জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগের বিধান না থাকলেও, ন্যায়বিচার স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আমিনুল গনি‘কে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।
এর আগে, আলোচিত এক ফোনালাপে “২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি”— এমন মন্তব্যের ভিত্তিতে শেখ হাসিনাসহ আরও একজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা জেলার এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কথিত এই ফোনালাপ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
প্রসিকিউশন জানায়, আদালতের তলব এবং সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও শেখ হাসিনা শুনানিতে উপস্থিত হননি এবং কোনো ব্যাখ্যাও দেননি। এ অবস্থায় আইনের আওতায় অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতেই বিচার ও শাস্তি ঘোষণার এখতিয়ার রয়েছে ট্রাইব্যুনালের।
উল্লেখ্য, আদালত অবমাননা প্রমাণিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন অনুযায়ী ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
মাসউদ/এসএ