ফার্মগেট শহীদ আনোয়ারা উদ্যান রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে একটি সংহতি সমাবেশে ৩০ দিনের মধ্যে ফার্মগেটের শহীদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরতের দাবি জানানো হয়েছে ।
শনিবার (১৮ মে) বিকেলে ফার্মগেট শহীদ আনোয়ারা উদ্যান চত্ত্বরে সংহতি সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিবিজড়িত ফার্মগেটের ঐতিহাসিক শহীদ আনোয়ারা উদ্যানসহ ঢাকার অন্যান্য উদ্যান দখলমুক্ত করে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, ফার্মগেটে শহীদ আনোয়ারা উদ্যানের এই জায়গাটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের। এটির রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের দায়িত্ব ছিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)। পরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে জায়গাটি মেট্রোরেলের প্রকল্প অফিস ও নির্মাণ উপকরণ রাখার কাজে ব্যবহার করে আসছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শেষে এই উদ্যান ফিরিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও এখন বাণিজ্যিক প্লাজা তৈরি করে জায়গাটি নিজেদের করে নিতে চাইছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গত বছরের অক্টোবর মাসে ফার্মগেট ফুট ওভারব্রিজ উদ্বোধনের সময় শহীদ আনোয়ারা উদ্যান উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিলেও এই বিষয়ে কোনও অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
সমাবেশে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান থেকে মেট্রোরেলের নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ করে উদ্যানটি পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করার জন্য ‘ফার্মগেট শহীদ আনোয়ারা উদ্যান রক্ষা আন্দোলন’–এর পক্ষ থেকে আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষকে ৩০ দিনের আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন।
প্রাণ–প্রকৃতি বিষয়ক লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থর সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলনের সংগঠক সৈয়দা রত্না, তরুণ নগর পরিকল্পনাবিদ রাকিবুল রনি, শিক্ষা আন্দোলনের নেতা রুস্তম আলি খোকন, মানবাধিকার কর্মী শিরিন হক, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত দে, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আকতার মাহমুদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির প্রমুখ।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ