সরকার ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে থাকে। এখন এসব বিল ও বন্ড কেনা যাবে শেয়ারবাজারেও। এর বিপরীতে মিলবে সুদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এসব সরকারি বিল-বন্ডের লেনদেন শুরু হচ্ছে আগামী সোমবার। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
গত সোমবার বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন, সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ড লেনদেন আগামী সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। বন্ডবাজারের উন্নয়ন হলে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমবে, পুঁজিবাজারেরও উন্নয়ন হবে। এরপরই গতকাল এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমানে সরকারি ট্রেজারি বন্ড-বিলের লেনদেনে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীর কেনাবেচার সুযোগ আছে। সরকারি এসব সিকিউরিটিজে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আরও সহজ করার লক্ষ্যে ডিএসই ও সিএসইতে আগামী সোমবার পরীক্ষামূলক লেনদেন চালু হচ্ছে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডের কেনাবেচা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি ব্যাংক থেকে ‘সিকিউরিটি হিসাব’ খোলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষেরও সরকারি বন্ড কেনার সুযোগ আছে। এ বন্ডে বিনিয়োগ করতে হবে কমপক্ষে এক লাখ টাকা বা এর গুণিতক। তবে শেয়ারবাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে এ সীমা প্রযোজ্য হবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিল ও বন্ড কিনলে মেয়াদপূর্তিতে সুদ দেওয়া হয়। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগেও তা-ই হবে। এতে চাহিদা বেশি থাকলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে। এখন যাঁদের হাতে বিল ও বন্ড কেনা আছে, তাঁরা বিক্রি করতে চাইলেই কেবল সোমবার কেনা যাবে। তবে প্রতি সপ্তাহে নিলাম হয়, এরপর বাজারে বিল ও বন্ড পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। বর্তমানে বিল-বন্ডে সর্বোচ্চ সুদ ৯ শতাংশ পর্যন্ত। টাকা ধার করতে সরকারের আছে বিভিন্ন মেয়াদি বন্ড ও বিল।