কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন আরসা ও একজন আরএসও সদস্য বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় বালুখালীর ৮ (পূর্ব) নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
তারা হলেন: ৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ–৪৯ ব্লকের আনোয়ার হোসেন (২৪), এ–২১ ব্লকের মোহাম্মদ হামীম (১৬), ১৩ নম্বর ক্যাম্পের বি–১৭ ব্লকের আবুল বাশারের ছেলে নুরুল আমিন (২৪) ও ১০ নম্বর ক্যাম্পের এইচ–৪২ ব্লকের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. নজিমুল্লাহ (২৮)।
৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ভোরে দুটি সংগঠনের সন্ত্রাসীরা গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এপিবিএন ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। আহতাবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে পাশের আইএমও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।
রোহিঙ্গারা জানান, ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে কিছুদিন ধরে আরসা ও আরএসও’র মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এরই জেরে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এতে পাঁচজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে উখিয়া থানায় আনা হয়েছে। অপর দুজনের মরদেহও হাসপাতাল থেকে থানায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
ঘটনার পর কক্সবাজারের পুলিশ সুপারসহ এপিবিএন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আফ/দীপ্ত নিউজ