রমজানের আগেই অস্থিরতা বেড়েছে নিত্যপণ্য ও কাঁচাবাজারের। এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা। ঊর্ধ্বমুখী গরুর মাংসের দাম, সুখবর নেই মাছের বাজারেও। এ অবস্থায় খরচের ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ভোক্তারা।
শুক্রবার (৩ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও পলাশী বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা। আর এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে দাম কমে ২৩০ টাকা কেজিতে ব্রয়লার বিক্রি হলেও সংকট থাকায় খামার পর্যায়ে আবারও বেড়ে গেছে দাম। বর্তমানে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে খাসি ১১০০ ও গরুর মাংসের দাম ঠেকেছে ৭৫০ টাকায়।
এদিকে মুরগির দামের এই বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছেন বিক্রেতারাও। এতে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মাংসের উত্তাপ ছড়িয়েছে মাছের বাজারেও। প্রকারভেদে সাধারণ চাষের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে ইলিশ-চিংড়ির পাশাপাশি দেশি পদের মাছগুলোর দাম বেড়েছে ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত।
ঢাকার বাজারে চাল, ডাল, ছোলা, চিনি ও তেলসহ বেশির ভাগ খাদ্যপণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই।
তবে রোজাকে সামনে রেখে নওগাঁয় বেড়েছে ছোলা, খেজুরসহ নিত্যপণ্যের দাম। এছাড়াও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৫ টাকা। স্থানীয় ভোক্তারা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এদিকে শীতের শেষে সবজির সরবরাহ কমেছে। তাই শিম, শশা, লাউ, কুমড়া, বেগুনসহ বেশির ভাগ সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫-১০ টাকা।
বাজার সহনীয় রাখতে খুচরা বাজারের পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে দাম মনিটরিংয়ে জোর দেয়ার দাবি জানান ভোক্তারা।
এমি/দীপ্ত