রাশিয়ার সোচিতে আয়োজিত চতুর্থ ওপেন ওয়ার্ল্ড অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণপদকসহ মোট চারটি পদক এবং একটি ‘অনারেবল মেনশন’ অর্জন করেছে।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএএ) এর আয়োজনে ৩০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিজয়ীরা নিজ নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে রাশিয়া জয়ের গল্প তুলে ধরেন। আয়োজকরা ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য তাদের অনুপ্রাণিত করেন।
সম্প্রতি রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশি দলের হয়ে স্বর্ণপদক জয় করেছে যশোর পুলিশ লাইনস সেকেন্ডারি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মখদুম আমিন ফাহিম। সিলভার পদক অর্জন করেছে রাজধানীর হীড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এ–লেভেল শিক্ষার্থী সপ্তর্ষি রহমান এবং আদমজি ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. রাদিত রাইয়ান। ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. জুবায়ের হোসেন জিসান। অনারেবল মেনশন অর্জন করেছে খুলনার সাউথ হেরাল্ড ইংলিশ স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়ন্তন রায়। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রো–অলিম্পিয়াড জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান মশহুরুল আমিন।
রাশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সিরিয়াস এডুকেশন সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডটি শুরু হয় ২১ সেপ্টেম্বর এবং সমাপ্ত হয় ২৭ সেপ্টেম্বর সিরিয়াস কনফারেন্স সেন্টারে। প্রতিযোগিতায় ২০টি দেশের ৯০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে বাংলাদেশি ছয় সদস্যের দল অংশ নেয়।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মশহুরুল আমিন বলেন, এবার আমাদের দলের একজন স্বর্ণপদক পেয়েছে। বাকি পাঁচজনই কোন না কোন পদক পেয়েছে। এটা অনেক বড় অর্জন। তবে এখানেই শেষ না। আমরা চাই যারা পদক জয় করেছেন তারা যেন ভবিষ্যতে অ্যাস্ট্রোনমি নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করে দেশের কল্যাণে অবদান রাখেন। মৌলিক গবেষণায় যদি তারা আগ্রহ দেখায় তাহলে অ্যাস্টোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন তাদের পাশে থাকবে।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রো–অলিম্পিয়াড ন্যাশনাল কমিটির পরিচালক শাহপার আলম বলেন, `আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। তাদের এই সাফল্য আগামী প্রজন্মকে বিজ্ঞানের প্রতি আরও অনুপ্রাণিত করবে।‘
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াডের জাতীয় কমিটির পরিচালক (একাডেমিক) ও কান্ট্রি কো–অর্ডিনেটর রবিন ফকির ও পদকজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা।