ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় রাতের আঁধারে চোখ-মুখ বেঁধে যুবলীগ নেতা মো. মিল্লাতকে (৪৫) মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদপুর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামিয়া স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার মিল্লাত ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও স্থানীয় মুদি দোকানি।
আহত মিল্লাতের মা তহমিনা বেগম জানান, ব্যবসার সুবাদে বিবিএস ক্যাবলসের চেয়ারম্যান আবু নোমান হাওলাদার অসহায় মানুষকে দেয়ার জন্য ছেলের কাছে কিছু কম্বল দেন। সেগুলো মিল্লাত বিতরণ করেন। আর তাতেই স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগ নেতা তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল।
তাঁর অভিযোগ, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় ছাত্রলীগ নেতা রকি ও রিয়াজসহ ৫-৬ জন কাপড় দিয়ে মিল্লাতের মুখ বেঁধে বেদম মারধর করে। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মিল্লাতের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া জানান, হামলার পর থেকে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুর পর্যন্ত মিল্লাতের জ্ঞান ফেরেনি।
বিষয়টি ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি এই ন্যাক্কারজনক হামলার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাসাধ্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমি/দীপ্ত