নওগাঁর রাণীনগরের আল–আমিন দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক (শরীরচর্চা) হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ওঠা মাদ্রাসার ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও ক্লাসে অশ্লীল কথা ব্যবহার করার অভিযোগের ভিত্তিতে তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ মে) সরেজমিনে মাদ্রাসা পরিদর্শন সাপেক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
এর আগে, গত সোমবার বিকেলে মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকেও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক হারুন ক্লাসের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন। গত রবিবার মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর শরীর নিয়ে অশ্লীল কথা বললে ঘটনাটি শিক্ষক–শিক্ষার্থীসহ এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর শুরু হয় ওই শিক্ষককে নিয়ে নানা আলোচনা–সমালোচনা। এমনকি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষক–শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। এমন ঘটনায় দেশের জাতীয় ও স্থানীয় গনমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়।
মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আলী আকবর বলেন, “আমরা মৌখিক ভাবে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।“
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, সরেজমিনে মাদ্রাসায় গিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়নি তবে তিনি ক্লাসে অশ্লীল কথা ব্যবহার করেন এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পুরো বিষয়টি সঠিক ভাবে তদন্ত করার জন্য দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটিগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রতিবেদনের ফলাফলের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আব্দুর রউফ রিপন/এফএম/দীপ্ত নিউজ