রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর জেলা থেকে আবারও দূরপাল্লার বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। শুধু একতা ট্রান্সপোর্টের বাস এবং লোকাল বাস চলাচল করছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টাম্বর) রাত ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বাস–ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি বজলুর রহমান (রতন)।
এতে করে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নাটোর থেকে দেশ, ন্যাশনাল, গ্রামীণ ও হানিফসহ কয়েকটি কোম্পানির বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।
এর আগে চলতি মাসেই বেতন–ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ২ দফা বাস বন্ধ করে দিয়েছিলেন চালক, তাঁদের সহকারী ও সুপারভাইজাররা।
মালিকপক্ষের দাবি, শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এরপরও তাঁরা অযৌক্তিক দাবি সামনে আনছেন, যা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। শ্রমিকদের সঙ্গে না পেরে তাঁরা নিজেরাই এবার বাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
বাংলাদেশ বাস–ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের দাবি–দাওয়ার ব্যাপারে গত মঙ্গলবার ঢাকায় তাঁদের সঙ্গে বসা হয়েছিল। তাঁদের বেতন–ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বজলুর রহমান আরও বলেন, ‘এখন শ্রমিকেরা দূরপাল্লার বাস যেখানে–সেখানে থামিয়ে যাত্রী তুলতে চাচ্ছেন। খোরাকি ভাতা দাবি করছেন। যেখানে–সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী তুললে তো ব্যবসা করা যাবে না। এটা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে নতুন করে বিরোধ। তাঁরা বাস চালাবেন না বলেছেন। আমরাও বলেছি, ঠিক আছে, এভাবে বাস চালাতে চাই না। কয়দিন বসে থাকবে থাকুক।’
এদিকে, উত্তরবঙ্গ সড়ক পরিবহন সমিতি মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম হেলাল বলেন, মালিক এবং শ্রমিকপক্ষে মধ্যে ছোট একটি বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। দ্রুত এই সংকটের সমাধান হয়ে যাবে।
এসএ