রাজশাহীতে ধান চাষের জন্য চালু হয়েছে ‘সমলয়‘ পদ্ধতি। এতে বীজ লাগানো থেকে ফসল তোলা, সবকিছুই হয় যন্ত্রের মাধ্যমে। ফলে কৃষকরা লাভবান হবে বলে মনে করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
চাষের এক নতুন পদ্ধতি হচ্ছে ‘সমলয়‘। এতে বীজতলা তৈরি, ধান রোপন এবং ধান ঘরে তোলাসহ সব কাজ করা হয় যান্ত্রিক উপায়ে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার লালাদিঘী গ্রামের ৫০ জন কৃষক এবার ‘সমলয়‘ পদ্ধতিতে ১৫০ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন।
ধান চাষে কৃষকদের শ্রমিক সংকট নিরসন, সময় অপচয়রোধ ও অতিরিক্ত খরচ রোধে সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনার আওতায় রাজশাহীতে ‘সমলয়‘ চাষ পদ্ধতি কৃষিতে খুলছে এক নতুন দুয়ার।
রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে প্রতি বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতে সময় লাগে ২০ মিনিট। ফলে খরচ কমে। সমলয় পদ্ধতি ব্যবহার করে কম সময়ে ভালো চারা ও বেশি ফলন পাওয়া যায়। এতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারসহ শ্রমিক সংকট নিরসন করা সম্ভব।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ বলেছেন, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে স্বল্প বয়সের চারা রোপণ করে ২০ থেকে ২৫ মণ ধান উৎপাদন করা হচ্ছে ফলে এতে শ্রমিক সঙ্কট দূর হচ্ছে। শ্রমিকরা লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি প্রণোদনার আওতায় চলতি অর্থবছরে কৃষকদের হাইব্রিড জাতের বোরো ধান বীজ, সার, চারাসহ অন্যান্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ