পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানীজুড়ে ১৯টি কোরবানির পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৯টি এবং উত্তর সিটিতে ১০টি হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ঈদের আগের তিন দিনসহ মোট পাঁচ দিন চলবে পশু বেচাকেনা। হাটগুলোতে নিরাপত্তা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যবিধি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় থাকবে বিশেষ নজরদারি।
দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের দরপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ২৭ মে। সর্বোচ্চ দরদাতাদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে ইজারাদার নির্বাচন করা হবে। হাট ব্যবস্থাপনায় নিয়ম লঙ্ঘন হলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতায় গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাট ছাড়াও বসিলা, মিরপুর, খিলক্ষেত, বাড্ডা, রায়েরবাজার, ভাটারা, মোহাম্মদপুর, উত্তরা ও উত্তরখান এলাকায় হাট বসবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতায় উত্তর শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘ ক্লাব মাঠ, সাদেক হোসেন খোকা মাঠ, ধুপখোলা মাঠ, ঝিগাতলা, আমবাগান, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার মাঠসহ মোট ৯টি স্থানে অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কারণে এবছর আফতাবনগর ও মেরাদিয়া পশুর হাট বাদ দেওয়া হয়েছে হাটের তালিকা থেকে।
ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ গণমাধ্যমকে জানান, সিটি করপোরেশন নিরপেক্ষভাবে ইজারা প্রদান নিশ্চিত করবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হাট পরিচালনা এবং নগরবাসীর ভোগান্তি রোধে সর্বোচ্চ নজরদারি থাকবে।
ডিএসসিসির প্রশাসক ড. মো. জিল্লুর রহমান জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ইজারা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
হাট চলাকালে এবং কোরবানির পর পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণে দুই সিটি করপোরেশন পৃথক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা টিম গঠন করেছে। নগরবাসীর সুবিধার্থে পরিচ্ছন্নতা, ট্রাফিক চলাচল, এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তদারকির জন্য মাঠে থাকবে পর্যাপ্ত কর্মী, ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।