ইফতার ও সেহরির মধ্যকার সময়ে যতক্ষণ জেগে থাকবেন, একটু পর পর পানি পান করবেন। সহজে হজম হয় এমন খাবার খাবেন। এর মধ্যে ঝোলজাতীয় খাবার খাওয়া ভালো। বেশি মিষ্টি খাবার খাওয়ার ফলে তৈরি করতে পারে পানিশূন্যতা। তাই ইফতারে খুব বেশি মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। রোদে যাবেন না। সরাসরি প্রখর রোদে একেবারেই যাবেন না। রোদে বের হতে হলে ছাতা নেবেন ও ছায়াযুক্ত স্থান দিয়ে হাঁটবেন।
বিভিন্ন ধরনের সবজি ও মুরগির মাংস দিয়ে স্যুপ রান্না করে খেতে পারেন। সবজি ও মুরগির মাংস দুটিই সহজপাচ্য। পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এগুলো পানির চাহিদা পূরণ করে।
ইফতারে দই বা দই দিয়ে বানানো বিভিন্ন আইটেম রাখতে পারেন। দই হলো প্রোবায়োটিক–সমৃদ্ধ খাবার। এতে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ৮৮ শতাংশ পানি থাকে, যা এ গরমে পানিশূন্যতা দূর করার পাশাপাশি পেট ঠাণ্ডা রাখে। হজম শক্তিও বাড়ায়।
এছাড়া আরো যা করতে পারেন:-
– ইফতারে বেশি বেশি ফল ও ফলের রস খেতে হবে। বেছে নিতে পারেন তরমুজ, বাঙ্গি, মাল্টা, বেল, পেঁপে ইত্যাদি।
–টকদই ও লাচ্ছি যোগ করতে পারেন ইফতারে।
– ইফতারে রাখতে পারেন ডাবের পানি ও খাবার স্যালাইন। তবে উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে পটাশিয়াম বেশি থাকলে তা এড়িয়ে চলাই উত্তম।
–রাতের খাবার ও সেহরিতে বেছে নিতে হবে সহজেই হজম হয় এমন খাবার। অতিরিক্ত তেল ও মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে, কেননা তা পরিপাকে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়।
–সেহরিতে ২/১ দিন পর পর রাখতে পারেন ডাল দিয়ে লাউ বা চালকুমড়া দিয়ে ঝোল তরকারি।
–সেহরি ও রাতের খাবারে নিয়মিত পানি সমৃদ্ধ সবজি যেমন চালকুমড়া, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, স্কোয়াশ, শসা, টমেটো রাখুন।
–সেহরি বা রাতের খাবারে এক বেলা দুধ রাখুন।
– খরচ কমাতে ডিম ও ডাল রাখতে পারেন।
–কাজ ছাড়া বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন, বের হলেও রোদ চশমা ও ছাতা ব্যবহার করুন।
– অনেকেই ইফতারের পর ফ্রিজে রাখা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করেন, এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
–নিয়মিত গোসল করতে হবে, খুব খারাপ লাগলে চোখেমুখে পানির ঝাপ্টা দিতে পারেন।
–যাদের দুধ চা ও কফি পানের অভ্যাস আছে তা বাদ দিতে হবে। কারণ দুধ চা ও কফি আমাদের দেহে পানিশূন্যতার সৃষ্টি করতে ভূমিকা পালন করে।
–খেজুর, ফল, জুসের সাথে ইফতারে রাখতে পারেন পান্তাভাত, যা সারাদিনের রোজার শেষে আপনার দেহে পানির ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
– ডায়রিয়া বা জ্বর বা অতিরিক্ত বমি হলে নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ