রমজানের অনেক আগেই ছোলা, চিনি ও ডালসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এর পেছনে কারসাজি দেখছেন বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফা লাভের আশায় এটা করছেন। সরকারের কাছে কঠোর তদারকির জোর দাবি তাদের।
রোজা আসতে এখনো প্রায় দেড় মাস বাকি। এরই মধ্যে আগুন লাগা শুরু নিত্যপণ্যের বাজারে। রোজার অতি গুরুত্বর্পূণ অনুসঙ্গ ছোলা, চিনি, ডালসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম এখন বেশ উর্ধ্বগতি। গত রোজায় যে ছোলার কেজি ছিল ৬৫/৭০ টাকা, সেই ছোলা এখনই বিক্রি হচ্ছে ১১০/১৫ টাকায়। আর ৮০ টাকার চিনির দাম এখন ১১৫/২০ টাকা। তাও আবার বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ নেই।
বাজার পরিস্থিতি যাই হোক, এবারও রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না বলে আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে সরকারের বিভিন্ন মহল। কিন্তু রমজান শুরুর আগেই দ্রব্যমূল্যের আগাম ঊর্ধ্বগতির কারণে এমন আশ্বাসে ভরসা নেই জনগণের। তারা বলছেন, বিগত কয়েক বছরের মতো এ রমজানেও অসাধু ব্যবসায়ী চক্র পুরোনো ছকে চলছে। রমজান নির্ভর পণ্যের দাম তারা আগেই বাড়াতে শুরু করেছে, যাতে রমজানে নতুন করে বাড়ানোর প্রয়োজন না পড়ে।
বাজারের এই অবস্থার জন্য কিছু ব্যবসায়ীর কারসাজিকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, এরকম কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে একটি মহল প্রতি বছরই মুখিয়ে থাকে। বাজার নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পারার জন্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা দায়ী বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
মার্চের শেষে শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান। রমজান মাসে চিনি, ছোলাসহ কিছু খাদ্যপণ্যের অতিরিক্ত চাহিদা থাকে। এতে বেড়ে যায় দাম। ডলার সংকট, এলসি সমস্যা যোগ হওয়ায় এবার তাতে যোগ হয়েছে আরও বাড়তি চাপ। পণ্যের সরবরাহ নিয়ে চিন্তা কাটছে না। ছোলার দামও পাইকারি ও খুচরায় বেড়েছে। তবে রমজানে পণ্যের ‘সংকট হবে না’ বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা।
আল/দীপ্ত