তদারকি আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে, ঢাকা উত্তর সিটির খালগুলো স্থায়ীভাবে দখল ও দূষণমুক্ত হচ্ছে না। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বাড়ছে মশার উৎপাত।
খাল থেকে নৌকায় করে যাওয়া যাবে নদীতে– বিভিন্ন সময় এমন স্বপ্নের কথা বলেছিলেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ঢাকা উত্তরের চারটি খাল এখন হেঁটেই পার হওয়া যায়। আবর্জনার স্তূপ জমে আরও চারটি খালে পানিপ্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নথিতে পথটি পল্লবীর জলাধারের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা আছে। কিন্তু জায়গাটি পলিথিনসহ নানা বর্জ্যে ঢাকা পড়ে গেছে।
বৃষ্টি হলেই এই এলাকায় পানি জমে। বেড়ে যায় মশার যন্ত্রণা। ফলে ভোগান্তির সীমা থাকে না স্থানীয়দের।
ঢাকা উত্তর সিটিতে এখন ছোট–বড় ২৯টি খাল রয়েছে। এর মধ্যে রূপনগর খাল, পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দ্বিগুণ খাল, পল্লবীর সাংবাদিক কলোনি খাল ও কল্যাণপুর গাবতলী অংশের মূল খাল।
সিটি করপোরেশন গতবছর এসব খাল সংস্কার শুরু করে। এখনও পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। কিন্তু পানির দুর্গন্ধ ও মশার উৎপাত কমছে না কিছুতেই।
নগর–পরিকল্পনাবিরা বলছেন– খাল ভরাট হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। তাই দ্রুত এগুলো উদ্ধার করতে হবে।
প্রতিবছর খাল সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি চললেও, দুর্ভোগ কমছে না নগরবাসীর। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, অভিযানের ধারাবাহিকতা না থাকলে, পুরোপুরি লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।
আল / দীপ্ত সংবাদ