যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের শেষ সময়ে ‘সুইং স্টেট‘ বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলো চষে বেড়াচ্ছেন দুই প্রার্থী– ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমালা হ্যারিস। নির্বাচন নিয়ে করা জরিপগুলো দুই প্রার্থীর মধ্যে তুমুল লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছে।
জর্জিয়া থেকে বিবিসির নর্থ আমেরিকা করেসপন্ডেন্ট জন সুদওয়ার্থ লিখেছেন, শেষ দিকের প্রচারেও ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রচারে অভিবাসন বিরোধী বার্তাকেই সামনে রেখেছেন।
অন্যদিকে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বিবিসির কোর্টনি সুব্রামানিয়ান লিখেছেন যে, কমালা হ্যারিসের প্রচার দল তার জয়ের বিষয়ে সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। তারা এখন ‘সুইং স্টেট‘ বা দোদুল্যমান রাজ্য বলে পরিচিতি অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর মধ্যেই অনেকেই আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এক সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় কমালা হ্যারিস বলেছেন, গাজা যুদ্ধ অবসানে তিনি তার ক্ষমতা অনুযায়ী সবকিছুই করবেন।
মিশিগানেই রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় আরব আমেরিকান জনগোষ্ঠীর বাস।
ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার আরব–সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর ডিয়ারবর্ন–এ সমাবেশ করেছেন।
ডেমোক্র্যাটদের মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও ইসরায়েলকে আর্থিক সুবিধা দেয়া নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে থাকা ক্ষোভকে পুঁজি করে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
মিশিগান থেকে বিবিসির ম্যাডেলাইন হালপার্ট লিখেছেন, ট্রাম্পের কয়েকটি বক্তৃতা শুনে তার মনে হয়েছে যে তিনি পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়ায় যেসব কথা বলেছেন সে অবস্থানেই তিনি থাকতে চান।
তিনি গত কয়েকমাস ধরে অর্থনীতি নিয়ে যেসব নীতির কথা বলেছেন সেগুলোরই পুনরাবৃত্তি করেছেন। ট্রাম্প ও হ্যারিসের একই বক্তব্য বারবার বলা, বিজ্ঞাপন ও দলীয় স্বেচ্ছাসেবীদের তৎপরতা সুইং ভোটারদের জন্য কিছুটা ক্লান্তিকর হয়ে উঠেছে।
ভোটারদের মন জয় করার জন্য রাজনৈতিক কর্মীরা সেখানদের ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। এসব কিছুই অবশ্য প্রমাণ করে যে সেখানে কতটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে।
বিবিসির যুক্তরাষ্ট্র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট কাট্টি কে লিখেছেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা সাতটি ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যের ছয়টিতে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
শুক্রবার ভার্জিনিয়াতে সমাবেশ করে গেছেন মি.ট্রাম্প। আগের দুটি নির্বাচনে তিনি সেখানে বড় ব্যবধানে হেরেছেন।
রবিবার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জেডি ভান্স নিউ হ্যাম্পশায়ারে গেছেন। জরিপ অবশ্য বলছে কমালা হ্যারিস সেখানে কিছু পয়েন্টে এগিয়ে আছেন।
সর্বশেষ নিউইয়র্ক টাইমস–সিয়েনা জরিপ অনুযায়ী তুমুল লড়াই হচ্ছে। প্রতিটি সুইং স্টেটে ব্যবধান খুব সামান্য।
আইওয়াতে নতুন জরিপে দেখা যাচ্ছে মিজ হ্যারিস সেখানে অপ্রত্যাশিতভাবে ভালো করতে পারেন। ট্রাম্প আগের দুটি নির্বাচনে সেখানে জয়ী হয়েছিলেন।
এ বছরের নির্বাচনে সুইং স্টেট হিসাবে পরিচিত পাওয়া রাজ্যগুলোর মধ্যে আছে অ্যারিজোনা, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলাইনা ও নেভাদা।
এসব রাজ্যের ভোটারদের জয় করতে শেষ মুহূর্তের চেষ্টা করে যাচ্ছেন দুই প্রার্থী।
এজে/ আল/দীপ্ত