যমুনা সংকুচিত হলে, বর্ষায় পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কৃষি, মৎস্য সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই, নদী সংকোচনের প্রকল্প থেকে সরে আসার পরামর্শ তাদের।
যমুনা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী, আর বিশ্বের দীর্ঘতম নদীগুলোর একটি। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২০৫ কিলোমিটার।
চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ‘যমুনা নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা‘ শিরোনামে ১১০৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করে, পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে গ্রোয়েন প্রযুক্তি ব্যবহার করে, নদীটি সংকুচিত করা হবে।
সংস্থাটি বলছে, প্রতি বর্ষা মৌসুমে যমুনা চওড়া হচ্ছে। কোথাও তা ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রশস্ত। এতে নদীভাঙন বাড়ছে। তা সংকুচিত করে সাড়ে ৬ কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হবে।
তবে, নদী ছোট করার পক্ষে নন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এর নেতিবাচক প্রভাব হবে সর্বব্যাপী।
পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট, বুয়টের অধ্যাপক মনসুর রহমান বলেন, ‘এখনও আমাদের দেশে যে পরিমাণ পলি আছে, উপরে অনেক ড্যাম তৈরি হচ্ছে। তারপরও আমাদের এখানে যে পলিটা আসছে সেটি যথেষ্ট। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে ল্যান্ড সমুদ্রগর্ভে যেতে বাধ্য।‘
অতিউৎসাহী হয়ে, শুধু অর্থনৈতিক লাভের উদ্দেশে এ ধরনের প্রকল্প না নেওয়ার তাগিদ দেন তারা।
আফ/দীপ্ত সংবাদ