বাঁচবে সময়, বাঁচবে পরিবেশ, যানজট কমাবে মেট্রোরেল’ এই শ্লোগানে যাত্রা শুরু করলো দেশের প্রথম মেট্রোরেল। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভকামনা জানান প্রকল্প বাস্তবায়ন সহযোগী জাপানের প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
বুধবার মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি ইওয়ামা এবং জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদ। বাংলায় কথা বলে দর্শকদের মুগ্ধ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।
মেট্রোরেল জাপানের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের অনন্য এক নিদর্শন বলে জানান কিমিনোরি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন “ঢাকা মেট্রোরেল বাংলাদেশের সাথে জাপানের কূটনৈতিক সুসম্পর্কের এক নির্দশন। নারীবান্ধব এই গণপরিবহণ যেমন সময় বাঁচাবে, তেমনি পরিবেশগত ক্ষতিও কমিয়ে আনবে বহুগুণে।”
এই প্রকল্পে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পেরে জাইকা গর্বিত বলে জানান, এর প্রধান প্রতিনিধি। তিনি আরও বলেন ” বাংলাদেশ- জাপান সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তী চলছে। বর্তমানে এশিয়ার মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অবকাঠামোগত উন্নয়নে, বাংলাদেশ বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। এখানে মেট্রোরেলের যাত্রায় সঙ্গী হতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি। এটি বাংলাদেশ- জাপান সুসম্পর্কের জলন্ত উদাহরণ।”
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মতিঝিল অংশ পর্যন্ত কাজ শেষ হবে বলে জানান, মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল আজ আর স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা। এ নিয়ে নিন্দুকদের বিষদগার না করার পরামর্শ দেন তিনি।
গুলশানে হলি আর্টিজান হামলায়, মেট্রোরেলে কর্মরত নিহত ৭ জাপানি নাগরিকের সম্মানে, তাদের নামাঙ্কিত ফলক উন্মোচন করা হয়।