রাজধানী বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় তৎকালীন ছাত্রলীগ–এর হাতে প্রকাশ্যে খুন হওয়া দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসের নামে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ চলাকালে শিবিরকর্মী সন্দেহে প্রকাশ্যে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। প্রায় এক যুগ পর বিশ্বজিৎ দাসকে স্মরণে রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রচেষ্টায় সদরঘাট–শাঁখারিবাজার সংযোগস্থলে ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’ নামে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে স্মৃতিস্তম্ভের প্রাথমিক কাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ বিশ্বজিৎ–এর আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে আমরা ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের ২০২১–২২ সেশন শিক্ষার্থী রিফাত হাসান বলেন, ‘১২ বছর পার হলেও বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি, এটি দুঃখজনক। তবে স্মৃতিস্তম্ভ তার স্মৃতিকে অমর করে রাখবে।’
আইন বিভাগের ২০২০–২১ সেশন শিক্ষার্থী সাগর দেবনাথ বলেন, ‘আমরা চাই রাষ্ট্র দ্রুত এ মামলার বিচার সম্পন্ন করুক। পাশাপাশি বিশ্বজিৎ চত্বর হবে ফ্যাসিবাদী অত্যাচারের নির্মমতার প্রতীক।’
জানা যায়, ১১ সেপ্টেম্বর বাহাদুর শাহ পার্ক সামনে সদরঘাট–শাঁখারিবাজার ৪ রাস্তার মোড়কে ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’ ঘোষণা করেন শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন। পরবর্তীতে সেখানে ‘স্মৃতিস্তম্ভ‘ তৈরির জন্য আবেদন করা হয়। পরে সিটি করপোরেশন নির্দেশে সোমবার সকালে প্রাথমিকভাবে স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধের মধ্যে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে শিবিরকর্মী সন্দেহে প্রকাশ্যে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে বিশ্বজিৎ‘কে হত্যা করা হয়।
এসএ