মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলা এক আসামীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মুন্সীগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম ফাইজুন্নেছা এই আদেশ দেন।
আসামী মো. খোকন (৩৫) সিরাজদিখান উপজেলার পাউসারের মোহাম্মদ বাবুল মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন দর্জি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট জেলার শ্রীনগরের বাড়ৈখালী বাজারের পাশে ইছামতী নদী থেকে কিশোরী লায়লা আক্তার লিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে নদীর পাশে আসামী মো. খোকন দর্জির দোকানে লিমুর হত্যার আলামত পাওয়া যায়। এ ঘটনায় লিমুর বাবা আব্দুল মতিন শ্রীনগর থানায় ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ এনে দর্জি মো. খোকনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। দীর্ঘদিন বিচারকার্য শেষে আদাল এই রায় প্রদান করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের রাষ্ট্র পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট লাবলু মোল্লা।
তিনি জানান, ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর (২) ধারা ও বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় ট্রাইবুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়। হত্যা করে লাশ গুম করার অপরাধে মামলার আসামী মো. খোকনকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
এদিকে আদালতে উপস্থিত থেকে বোন ও ভাগ্নি হত্যার বিচারের রায় পেয়ে আদালতের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন নিহতের বড় ভাই রিপন ও তার ফুফু নাসরিন।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ