মুজিবনগর সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং সাংবিধানিক সরকার। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সুসংগঠিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথেও সংযোগ স্থাপন করেছে। তখনকার নির্বাচিত যে নেতৃবৃন্দ ছিলেন তারাই এই সরকার গঠন করেছে। ১৭ এপ্রিল জাতির জন্য একটি গৌরবউজ্জল অধ্যায় বলে জানান বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা লে. কর্ণেল ফারুক ই আযম বীর প্রতীক।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে মুজিবনগর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোন ইচ্ছা এ সরকারের নেই। কারণ ইতিহাস কখন মুছা যায়না। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখতে হয়। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে কি করবে এটি তাদের ব্যাপার। আমাদের অনেক গৌরবের বিষয় আছে যেগুলো আমরা ইচ্ছে করে বিতর্কিত করতে চাই। ইতিহাস অমচোনীয় থাকা উচিত।
ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তিনি বলেন, যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা আছে তারা প্রতিনিয়ত বিব্রতবোধ করছে। মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। এটি গ্লাণিকর। এরই মধ্যে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আমরা অনেক উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছি। কিছু বিষয় আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি। বিভিন্ন রকমের প্রায় ২ হাজার ৭’শর বেশি মামলা আছে। এই মামলাগুলো নিষ্পত্তির প্রয়োজন আছে। আমরা আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি।
এর আগে সূর্যোদ্বয়ের সাথে সাথে ৫টা ৪৩ মিনিটে গার্ড অব অনার এবং জাতীয় সংঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে ১৭ এপ্রিল জাতীয় নেতৃবৃন্দদের গার্ড অব প্রদানকারী বেঁচে থাকা ২জন আনসার সদস্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এরপর মুজিবনগর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব ইসরাত জাহান, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানমসহ প্রাশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপদেষ্টা মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স এবং আম্রকাননের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।
আল