দিনাজপুর চিরিরবন্দরে মমিনুর রশিদ ( ৫৬) নামে মাদ্রাসা শিক্ষককে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে মাথা ফাটিয়ে জখম ও তার ছেলে ইমরান রায়হানকে তুলে নিয়ে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করার ঘটনা ঘটেছে।
আহত শিক্ষক চিরিরবন্দরে মামুদপুর রসুলপুর হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন ।
রবিবার ( ৯ জুলাই) চিরিরবন্দর থানায় করা মামলার বাদি ইমরানকে প্রতিপক্ষরা তার মামলা তুলে নেওয়া অন্যাথায় গুম করে ফেলার হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ করেন ভিকটিমের ছেলে। ফলে এই পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ।
ইমরান জানান, ২রা জুলাই নিজ বাড়ীতে বাবা, আমি ও দাদা মোজাম্মেল হক( ৮০) ফেরার পথে জৌড়ালির পাড়ে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে দৌড়ে এসে দিঘারণ গ্রামের জাহাঙ্গীর, বুলু, জাকির, মাইজার, মাহফুজুর, হাসিম, খোরশেদসহ আরোও ৫/৬ জন বাবার উপর অর্তকিত হামলা করে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় ।
তিনি আরও জানান, গুরুতর অবস্তায় বাবাকে উদ্ধার করে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দিনাজপুর এম আব্দুর রশিদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
ইমরান বাদি হয়ে চিরিরবন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করে ।
অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশিদ জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে । হুমকি দাতারা যত বড়ই ক্ষমতাসীন হোক না কে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে ।
সুলতান মাহমুদ/এসএ/দীপ্ত নিউজ