শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

মানুষের মরদেহ থেকে জৈব সার তৈরির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: সর্বশেষ সম্পাদনা: 1 minutes read

এই উদ্যোগ বেশ পরিবেশবান্ধব বলে মনে করেন মানব কম্পোস্টিং এর সমর্থকরা। তবে, মানবদেহকে গৃহস্থালির বর্জ্য হিসেবে গণ্য করা উচিত নয় বলে এর সমালোচনা করেছেন অনেকে।

বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের বড় বড় শহরে কবরস্থানের বা নতুন করে কবর দেয়ার সংকট তৈরি হয়েছে। প্রচলিত রীতিতে কবর দেয়ার পরিবর্তে মানব শরীর দিয়ে কম্পোস্ট বা জৈব সার তৈরির পদ্ধতিকে বিকল্প হিসেবে দেখছে অনেক দেশ। জৈব সার তৈরির জন্য মৃতদেহ ঘেরা জায়গায় কাঠের গুঁড়া, বিশেষ ধরনের পাতা ও খড় ঘাসের মতো কিছু উপকরণ দিয়ে প্রায় এক মাস রাখা হয়। ধীরে ধীরে সেটি পচন ধরে এবং জীবাণুমুক্ত করার জন্য তাপ প্রয়োগ করা হয়। এরপর স্বাভাবিকভাবেই মৃতদেহ জৈব সারে পরিণত হয়।

মৃতদেহ সারে পরিণত হওয়ার পর, সেই মাটি তার প্রিয়জনদের দেয়া হয়, যাতে তারা ফুলগাছ, সবজির চারা বা বৃক্ষ রোপণ করতে পারেন।

গ্রীন ইসপ্রিংস প্রাকৃতিক কবরস্থান সংরক্ষনের ম্যানেজার বলেন “প্রাকৃতিক সমাধি যে কারো জন্য বড় একটি সুযোগ, কারন এতে শরীরকে গ্রহের উপকারে লাগানোর সুযোগ তৈরি হয়। এটি প্রকৃতির সংরক্ষণে থাকে, যা সহজে মাটিতে মিশে যায়।”

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রিকম্পোজ জানিয়েছে, মানবশরীর এক টন কার্বন সংরক্ষণ করতে পারে।

একজন মৃতের পিতা বলেন “আমার মেয়ে আমার আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। আমি মনে করি, সে মিশে আছে এই প্রকৃতিতে, কারন তার শরীরকে আমি প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষন করি।”

তবে এর সমালোচনাও করেছেন অনেকে। ২০১৯ সালে ওয়াশিংটনে প্রথম এই পদ্ধতি অনুমোদন দেয়া হয়। পরে কলোরাডো, ওরেগন, ভার্মন্ট ও ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে অনুমোদিত হয়। ৩১ ডিসেম্বর ষষ্ঠ রাজ্য হিসেবে নিউইয়র্কে এটি অনুমোদন দেয়। সুইডেনে মানব জৈব সার বৈধ।

 

 

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

সম্পাদক: এস এম আকাশ

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.