জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষে মানিক মিয়া এভিনিউ একরকম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পুলিশের ব্যারিকেডের জন্য ব্যবহৃত ‘রোড ব্লকার’গুলো একত্রিত করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
সংসদ ভবনের প্রাঙ্গণে প্রবেশের চেষ্টা করা জুলাই যোদ্ধাদের পুলিশ ধাওয়া দিয়ে সংসদ এলাকা থেকে বের করে দেন। তবে কিছু বিক্ষিপ্ত আন্দোলনকারী সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট ভেঙে বাইরে বের হয়ে যান। তারা সেই সময় কয়েকটি ট্রাক ও বাস ভাঙচুর করে, যার মধ্যে দুইটি পুলিশের গাড়িও ছিল। পুলিশের ধাওয়া ও লাঠিচার্জের মুখে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিয়ার শেল এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর ফলে আন্দোলনকারীরা কিছুটা পিছু হটে, কিন্তু দূর থেকে তারা আবার পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ চালায়। পুলিশকে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনকারীরা জুলাই সনদ সংশোধন ও বাস্তবায়নের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন। শুক্রবারের এই সংঘর্ষে তাদের ক্ষোভ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। মানিক মিয়া এভিনিউয়ে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় সাধারণ মানুষও চরম দুর্ভোগে পড়েন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর, এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সকল প্রকার ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া এবং ভাঙচুরের ঘটনায় নজর রাখছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা তাদের মূল লক্ষ্য।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে নতুন প্রজন্মের আন্দোলন দৃঢ় হচ্ছে, এবং এর সঙ্গে যুক্ত সংঘর্ষের ঘটনা সময়োপযোগী পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করছে।