বেগম খালেদাজিয়া অনেক অসুস্থ অবিলম্বে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, মহান নেতা শেখ মুজিবকে আ.লীগের লোকজনই হত্যা করেছে, সাঈদীর সঠিক চিকিৎসা নিয়ে সংসয় প্রাকাশ করে তার বিচারের রায় সঠিক হয়নি বলেও প্রশ্ন তুলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপির আয়োজনে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া’র রোগমুক্তির জন্য দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তির ব্যবস্থা করে উন্নত চিকিৎসার প্রদান করার জন্য সরকারকে হুশিয়ার করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন বেগম খালেদা জিয়া অনেক অসুস্থ তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসা প্রদান না করলে দেশের মানুষ আর আপনাদের ক্ষমতায় থাকতে দিবেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। জেলা মহাসমাবেশ গুলোতে তারা পরিষ্কার বলে দিয়েছে আপনারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আর একতরফা নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। এদেশের মানুষ তা আর করতে দেবে না। শুধু আমরা নই আন্তর্জাতিক মহল বলছে, অতীতের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠ হয়নি। এবারের নির্বাচন যদি সকলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠ অবাধ না হয় তাহলে সেই নির্বাচন আমরা গ্রহণ করব না। তাই আমরা সকল শক্তিতে বলিয়ান। আমরা মানুষের শক্তিতে বলিয়ান ও আন্তর্জাতিক বিশ্বেও বলিয়ান।
এছাড়াও শেখ মহান নেতা মুজিবুর রহমানকে সরকারের লোকজনই হত্যা করেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান নাকি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সাথে জড়িত। আসলে তো এই মহান নেতাকে হত্যা করে তার রক্তের উপর দিয়ে সরকারের মন্ত্রী এমপিরা খন্দকার মোস্তাকের নেতৃত্বে শপথ নিয়েছেন ১৯৭৯ সালে। সেদিন এই সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনীর সদস্যরা খন্দকার মোস্তাককে স্যালুট দিয়ে আনুগত্য ঘোষণা করেন। যারা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে আপনারা মন্ত্রী এমপি বানিয়েছেন। সুতরাং এই মিথ্যা কথাগুলো বলে দৃষ্টি অন্যদিকে নিবেন না। কারণ তখন বিএনপি তৈরি হয়নি। জিয়াউর রহমান তখন ডেপুটি চিফ ছিল তার কোন নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা ছিল না।
এছাড়াও জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সঠিক চিকিৎসা নিয়ে সংসয় প্রাকাশ করে তার বিচারের রায় সঠিক হয়নি বলেও প্রশ্ন তুলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রাজনৈতিক ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাইনা। তবে তিনি যে প্রখ্যাত আলেম ছিলেন, তিনি আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ছিলেন এবং তার পাণ্ডিত্যের কোনো সীমা ছিল না। তার চিকিৎসার সুব্যবস্থা হয়েছে বলে আমরা পত্রপত্রিকায় দেখতে পাচ্ছিনা। তাকে যে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে, তা পুরোপুরি ন্যায় সঙ্গত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই, কারন এই সম্পর্কে দেশে বিদেশে অনেক প্রশ্ন আছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই বিচার হয়নি।
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের সভাপতি তৈইমুর রহমান, সহসভাপতি পয়গাম আলীসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
শায়লা/ দীপ্ত সংবাদ