রাজধানী ঢাকায় হালকা ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা ১৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল নরসিংদী এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.১।
এর আগে চলতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা, সিলেট, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ভূকম্পন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মিনজিন এলাকায় ১০৬.৮ কিলোমিটার গভীরে, যার মাত্রা ছিল ৪.৯। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এটি ঢাকা থেকে ৪৩১ কিলোমিটার দূরের হালকা মাত্রার ভূমিকম্প ছিল।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
এর আগে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট ২০ সেকেন্ডে ঢাকায় আরেকটি ভূমিকম্প হয়। এর মাত্রা ছিল ৩.৬, আর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল। ওই দিন ভোরে সিলেট ও কক্সবাজারের টেকনাফেও দুদফা ভূকম্পন অনুভূত হয়।
দেশে ভূমিকম্পের ধারাবাহিকতা শুরু হয় ২১ নভেম্বরের তীব্র ভূমিকম্পের পর। নরসিংদীকে কেন্দ্র করে হওয়া ওই ৫.৭ মাত্রার ভূকম্পন অনুভব করেছিলেন দেশের প্রায় ১৪ কোটি মানুষ। এতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয় এবং কয়েকশ মানুষ আহত হন। রাজধানীর বহু ভবনে ফাটল দেখা দেয়, কিছু ভবন হেলে পড়ার ঘটনাও ঘটে। এরপর ২২ নভেম্বর সকাল ও সন্ধ্যায় অল্প ব্যবধানে তিন দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয় ঢাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে।