স্থপতি রাজীব আহমেদের অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার, স্থপতি এবং সহপাঠীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর–রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করে স্থপতির স্বজনরা।
সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক আরেফ অভিযোগ করে বলেন, দেড় বছর ধরে রাজীব চর্মরোগের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত ২৮ জানুয়ারি তিনি চিকিৎসকের কাছে গেলে নতুন ওষুধ দেয়া হয়। সেই ওষুধ খেয়ে প্রচণ্ড পেটব্যথা নিয়ে রাজীব ৭ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। ডা. এমইউ কবির চৌধুরীর প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী একই সময়ে সেবন করা দুটি ওষুধের মিথস্ক্রিয়ায় তার লিভার ড্যামেজ হয়ে যায়, যা সব স্বীকৃত ওষুধ সংস্থার গাইডলাইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে পরদিন তাকে বেসরকারি আরেকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে আরও অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়।
আরেফ অভিযোগ করে বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রাজীবের কিডনি অকার্যকর হয়ে যায়। ১৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
একজন চিকিৎসক হিসেবে তাকে যে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তার ব্যাখ্যা তুলে ধরে আরেফ উদ্দিন বলেন, দুই হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে অব্যবস্থাপনা ছিল। চিকিৎসকরা অনেক তথ্য পরিবারের সদস্যদের কাছে আড়াল করেছেন। চিকিৎসকদের কাছে রাজীবের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা সব সময় ধৈর্য ধরতে বলেছেন।
রাজীবের স্ত্রী স্থপতি সারাওয়াত ইকবাল, মা, তিন বোন ও অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। এমন ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার শিকার যেন কেউ না হয় এমন দাবিতে বিএম অ্যান্ড ডিসিতে অভিযোগ দিয়েছেন তারা। বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট আইএবি তাদের প্রতিবাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে।