ভারত সরকার পেয়াজের উপর নতুন করে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে স্বল্প পরিষরে পেঁয়াজ আমদানি করছেন স্থানীয় আমদানিকারকরা।
স্থানীয় আমদানিকারকরা বলছেন, পেয়াজ আমদানিতে ভারত সরকার হঠাৎই মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক নির্ধারণ করায় দেশীয় বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি করা নিয়ে ক্রেতাদের সাথে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। সে কারণে বন্দরটি দিয়ে পেয়াজ আমদানির বিপরীতে নতুন করে এলসি খুলছেন না তারা। বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দরটি দিয়ে সপ্তাহে ৮ হতে ১০ ট্রাক পেয়াজ আসলেও বর্তমানে সেটা নেমেছে দুই চারটিতে।
দীর্ঘদিন থেকে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা পূরণে প্রতিবছরই বড় একটা অংশ যোগান দিয়ে আসছেন ভারত। পেয়াজের এ যোগানের বিপরীতে মাঝে মধ্যে শুল্ক আরোপের এমন সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যার বিরুপ প্রভাব পড়ে গোটা দেশে। গত ১৯ আগষ্ট বানিজ্য ও অর্থ মন্ত্রনালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে পেয়াজ আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি পেঁয়াজ আমাদানিকারকদের জানানো হয়। শুল্ক আরোপের প্রভাবে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশে পেঁয়াজের বাজার। আমদানি কমিয়ে দেন স্থানীয় আমাদানিকারকরা।
গত সপ্তাহে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ১০ ট্রাক পেয়াজ প্রবেশ করলেও চলতি সপ্তাহে শুল্কহার বেড়ে যাওয়ায় সেটা নেমে এসেছে তিন চার ট্রাকে।
ভারত সরকার পেয়াজ রপ্তানিতে নতুন করে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় দেশে পেয়াজের বাজার বেশ চড়া হয়ে উঠেছে। বাড়তি শুল্ক দিয়ে পেয়াজ আমদানি করে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
আর বন্দরের ব্যবস্থাপক বলছেন, ভারত সরকার পেয়াজ রপ্তানিতে শুল্কহার না কমালে এই বন্ধর দিয়ে পেয়াজের আমদানি আরও কমে যেতে পারে।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ