নীলফামারীর ব্যস্ততম সৈয়দপুর শহরে ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটি পরে আছে। এতে করে এ সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহনের চালকরা দুর্ঘটনার আশঙ্কায় করছেন।
সৈয়দপুর শহরের ব্যস্ততম শহীদ তুলশীরাম সড়কের শহীদ ডা. বদিউজ্জামান মার্কেটের সামনে একমাস আগে এ ট্রান্সফরমারটি বসানো হয়।
জানা গেছে, নীলফামারীর বেশ কয়েকটি ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলার মধ্যে একটি হচ্ছে শহীদ তুলশীরাম সড়ক। এ সড়কে সৈয়দপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ি, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়, এ সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয় সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়। সৈয়দপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ির পাশে শহীদ ডা. বদিউজ্জামান মার্কেট। ওই মার্কেটের বিপরীতে রয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ঠিক সামনে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ১১ হাজার ভোল্টের একটি ট্রান্সফরমার রয়েছে। গত ৭ জুন ওই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারটি আকস্মিক পুড়ে গিয়ে বিকল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় নেসকোর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সেখানে একটি ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমার স্থাপন করে।
নেসকো সূত্রে জানা গেছে, যে কোনো স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা স্থায়ী ট্রান্সফরমার বিকল হলে সেখানে ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমার লাগানো হয়। পরবর্তীতে নতুন ট্রান্সফরমার বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমার সরিয়ে নেওয়া হয়।
রিকশাভ্যান চালক বেলাল হোসেন বলেন, এ সড়কে সবসময় একটি কুরিয়ার সার্ভিসের মালামাল আনা নেওয়া করি। দিনে রাতে কত বার যে এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তার কোনো ইয়ত্তা নেই। সড়কের ওপর বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারটি থাকায় ভয় হয়। আতঙ্কে আছি কখন কে যে মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়েন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হাসনাত বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার আগে দ্রুত ট্রান্সফরমারটি সরিয়ে ফেলা উচিত। রাস্তায় ট্রান্সফরমারটি বসানোর সময় বিদ্যুৎ বিভাগ দুদিনের মধ্যেই বিকল হওয়া ট্রান্সফরমারটি মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি।
নেসকোর সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বিকল ট্রান্সফরমারটির বিপরীতে এখনও নতুন ট্রান্সফরমার বরাদ্দ মেলেনি। তবে দ্রুতই নতুন ট্রান্সফরমার বরাদ্দ মিলবে আর তখন ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটি সরিয়ে নেওয়া হবে।
ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন/ শায়লা/ দীপ্ত সংবাদ