‘নারীর সম–অধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ প্রতিপাদ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও আজ শুক্রবার (৮ মার্চ) উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
তবে আপনি কি জানেন, এই বিশেষ দিনটির সঙ্গে লুকিয়ে আছে বেগুনি রং। প্রতি বছর নারী দিবসের থিম বদল হলেও ২০১৮ সাল থেকে নারী দিবসের থিম কালার কিন্তু রয়ে গেছে বেগুনি হিসেবেই।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে কেন বেগুনি রঙের পোশাক পরা হয়? এই রঙের সঙ্গে নারী দিবসের সম্পর্ক কোথায়? কেন বা কােথা থেকে নারী দিবসের রং বেগুনি নির্ধারিত হলো তার পেছনে অনেক জানা–অজানা কথা রয়ে গেছে।
নানা পণ্যে ব্যবহৃত রং নিয়ে কাজ করে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্যানটোন। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি
বেগুনি রঙকে নারী দিবসের রং হিসেবে ঘোষণা দেয়। মূলত এই বেগুনি দিয়ে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিকে বোঝানো হয়। নারীরা হবে ঠিক সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির মতো শক্তিশালী।
বেগুনি রঙকে নারী দিবসের রং করার বিষয়ে প্যান্টন জানায়, বেগুনি রং দিয়ে লিঙ্গ সমতা, দূরদর্শী চিন্তাভাবনা ও ভবিষ্যতের রংকে বোঝানো হয়। যার জন্য আজও নারীরা যুদ্ধ করে যাচ্ছে।
যদিও আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বেগুনি, সবুজ এবং সাদা হলো আন্তর্জাতিক নারী দিবসের রঙ। কারণ বেগুনি রং দিয়ে ন্যায়বিচার এবং মর্যাদাকে বোঝায়, সবুজ হচ্ছে আশার প্রতীক আর সাদা বিশুদ্ধতার রং। ১৯০৮ সালে যুক্তরাজ্যের উইমেন`স সোশ্যাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইউনিয়ন (ডব্লিউএসপিইউ) এই রঙগুলোকেই নির্দিষ্ট করে দেয়।
অন্যদিকে, বিংশ শতাব্দীর শুরুতে নিজেদের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সাদা ও সবুজ রঙকে নারী দিবসের রং হিসেবে ব্যবহার করতেন বিট্রেনের নারীরা। তাদের মতে সাদা শুদ্ধতা ও সবুজ আশার প্রতীক।
তবে নারীমুক্তি আন্দোলনের জন্য উপযুক্ত রং হলো বেগুনি। নারীরা সমাজের জন্য লড়াই করছে এ বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে বেগুনি রঙটা যথার্থ বলেই বিবেচিত হয়েছে। তাই বেগুনি রঙের পোশাক পরলেই এই দিনটির তাৎপর্যের সঙ্গে মিশে যাবেন আপনিও।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ