জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস–চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, “আধিপত্যবাদী ও ফ্যাসিবাদের রাজনীতির বিপক্ষে সোচ্চার কণ্ঠ, গণতন্ত্রের মানসকন্যা ও আপোষহীন সংগ্রামের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতীক। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার নাম দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।”
শোকবার্তায় তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে ছিলেন আপোষহীন। তিনি মরহুমার বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
ভাইস–চ্যান্সেলর বলেন, দেশের আপামর জনগণের জন্য গুণগত মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ উচ্চশিক্ষা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এবং সারাদেশের প্রায় আড়াই হাজার কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন পুরোনো শিক্ষাক্রম সংস্কার ও কর্মমুখী শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশের প্রথম ও মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রকৃত সম্মান জানাতে বর্তমান প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গভীরভাবে শোকাহত বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।