লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জবিউল হক মাস্টার নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার ১৪ বছর পর মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি মো. জুয়েল হাওলাদারকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার (১০ মে) ভোরে রাজধানী ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জুয়েল হাওলাদার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সেবাগ্রামের মৃত ওমর ফারুকের ছেলে।
র্যাব–১১, সিপিসি–৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি জুয়েল গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘদিন যাবত পলাতক ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে র্যাব তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
জানা যায়, জমি থেকে মাটি কাটার জেরে ২০০৯ সালের ২৩ জুন বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশী আবদুর রশিদের ছেলে আলাউদ্দিন চৌধুরীর (৫৪) নির্দেশে অভিযুক্তরা মুক্তিযোদ্ধা জবিউল হকের মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাথা ফেটে রক্ত বের হয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় ভিকটিম জবিউল হকের ভাই হাজী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে আলাউদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামে রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ২১ মে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দেন লক্ষ্মীপুর সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহাম্মদ।
অভিযোগপত্রে তিনি মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিনসহ আবদুল্লাহ, মাহবুব, স্বপন, জুয়েল ও মাকসুদ হাওলাদারকে অভিযুক্ত করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত–১ এর বিচারক আজিজুল হক মামলার ৫ নম্বর আসামি জুয়েলের মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ নম্বর আসামি মাহবুব ওরফে মাফুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আল/দীপ্ত সংবাদ