১২ জুনের নির্বাচনে নৌকা জয়যুক্ত হলে বরিশালের কাংখিত উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত। এদিকে বরিশালকে উৎপাদনমুখি এবং আইটি শহরে পরিনত করতে লাঙ্গলে ভোট চেয়েছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস।
শান্তিময় শিক্ষার নগরী গড়তে হাতপাকায় ভোট চাইছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী। অপরদিকে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন নগ্ন হস্তক্ষেপ না করলে জয়ের আশা করছেন সাবেক মেয়র পুত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের গড়িয়ারপাড় এলাকায় গনসংযোগ করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিগত দিনে বরিশালে প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়নি। বিশেষ করে বর্ধিত এলাকা ছিলো একেবারে অবহেলিত। সিটি নির্বাচনে নৌকা বিজয়ী হলে বরিশালের কাংখিত উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা তার। বিরোধী প্রার্থীদের আচরন বিধি লংঘনের অভিযোগের বিষয়ে নৌকা প্রার্থী বলেন, আচরনবিধি দেখার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আছে। কোথাও বিচ্যুতি হলে সেটা দেখার দায়িত্ব তাদের।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস হাজী মহসিন মার্কেট, নদী বন্দর ও সিটি মার্কেটে গনসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বরিশালকে উৎপাদনমুখি আইটি শহরে পরিনত করার প্রতিশ্রুতির পুনব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ভালোভাবে বাঁচার সংগ্রামে বরিশালবাসী একাট্টা হয়েছে। ১২ জুন সুযোগ পেলে তারা লাঙ্গলে ভোট দিয়ে সেটা প্রমান করবে জনগন।
এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালিজিরা ও হরিনাফুলিয়া এলাকায় গনসংযোগ করেন। এ সময় সম্মিলিতভাবে শান্তিময় নিরাপদ নগরীর গড়তে হাতপাখায় ভোট চান তিনি। নিরাপদ মহানগরী গড়তে পারলে সব ধর্ম–বর্নের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বিএনপি’র প্রয়াত সাবেক মেয়র পুত্র স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জিলা স্কুল মোড় থেকে সদর রোডের দুই পাশে গনসংযোগ করেন।
এ সময় রূপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই জনগনের সারা পাচ্ছেন তিনি। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন হস্তক্ষেপ না করলে টেবিল ঘরি বিজয়ী হবে আশা তার।
জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চুও আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর আমতলা মোড় থেকে বান্দ রোড হয়ে চাঁদমারী পর্যন্ত গনসংযোগ করেন। তিনি বরিশালের উন্নয়নে গোলাপফুল মার্কায় ভোট চান। অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার এবং আসাদুজ্জামানের প্রচারনা দেখা যায়নি।
বরিশাল নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। ১২ জুন নগরীর ১২৬টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন তারা।
জুয়েল/আল/দীপ্ত সংবাদ