আজ ৮ মে, বিশ্বব্যপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব গাধা দিবস (World Donkey Day)। পরিশ্রমী ও সহনশীল এই প্রাণীটির অবদান স্মরণ করা এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি করাই এই দিবসের লক্ষ্য।
প্রতিবছর এই দিনটি উদযাপন করা হয় মূলত পশু–কল্যাণ সংগঠনগুলো, পরিবেশবাদী প্রতিষ্ঠান ও প্রাণিপ্রেমী মানুষদের উদ্যোগে।
গাধার সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক হাজার বছরের পুরনো। খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে আফ্রিকায় গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে গাধার ব্যবহার শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। এরপর থেকে পণ্য পরিবহন, কৃষিকাজ, জলবাহী পথ পারাপার, এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও গাধা মানুষকে সঙ্গ দিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী এখনও প্রায় ৪ কোটির বেশি গাধা রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ব্যবহৃত হয় ভার বহনের কাজে। দক্ষিণ এশিয়া, সাব–সাহারান আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে গাধা একটি অবিচ্ছেদ্য কর্ম–সহযোগী।
বাংলাদেশেও গ্রামীণ অঞ্চলের কিছু এলাকায় গাধা এখনো ব্যবহার হয় ইটভাটায় বা পণ্য পরিবহনে। তবে এসব প্রাণী প্রায়ই পায় না প্রয়োজনীয় খাদ্য, বিশ্রাম বা চিকিৎসাসেবা। ফলে ধীরে ধীরে এদের সংখ্যা কমছে।
গাধা নিয়ে বহু কুসংস্কার ও অবমূল্যায়ন রয়েছে। অনেকেই এই প্রাণীটিকে ‘বোকা’ বা ‘জেদি’ মনে করেন। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, গাধা সহিষ্ণু, চিন্তাশীল এবং নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন প্রাণী। তারা কষ্ট সহ্য করতে পারে, দীর্ঘপথ হাঁটতে পারে, এবং সহজেই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
এমএম/ইএ