বিশ্বে যত ইলিশ উৎপাদন হয়, তার ৮৫ ভাগই হয় বাংলাদেশে। বিশ্লেষকদের মতে, বিজ্ঞানভিত্তিক চেতনা, নিবিড় গবেষণা এবং নীতি বাস্তবায়নে কঠোরতার ফল পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ পৃথিবীর যেখানেই বাঙালির বাস, সেখানেই ইলিশের আকাশচুম্বি চাহিদা।
এক দশক আগেও বাজারে ‘ইলিশ‘ মাছের দেখা পাওয়া ছিল কষ্টের। এখন ইলিশের মৌসুম ছাড়াও বছরজুড়ে বাজারে ইলিশের দেখা মেলে। এর অন্যতম কারণ, সরকারের ইলিশ সংরক্ষণ নীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন ও প্রণোদনা, বলছেন বিশ্লেষেরা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দফায় অক্টোবর মাসের ২২ দিন দেশের সব নদ–নদীতে ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য মন্ত্রণালয়। আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমা ইলিশের ডিম ছাড়ার সময়। পরিণত ইলিশ এই সময় ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে মিঠাপানির নদীতে আসে। ডিম ছাড়ার সময়টিকে নির্বিঘ্ন করতেই সরকার ওই সময় সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
দ্বিতীয় দফায় জাটকা ইলিশকে বড় হওয়ার সুযোগ দিতে বছরের ১ নভেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস বা ২৪০ দিন জাটকা ধরা নিষিদ্ধ। এ সময় চলে নদীতে ভ্রাম্যমান আদালত। তবে বড় আকৃতির ইলিশ ধরতে বাধা থাকে না।
এছাড়া ইলিশের প্রজনন মৌসুমে দেশের ছয়টি অভয়াশ্রমে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে।
ওয়ার্ল্ড ফিশের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিশ্বে মোট উৎপাদিত ইলিশের শতকরা ৮৫ ভাগ যোগান দেয় বাংলাদেশ। ২০০৯–২০১০ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন হয় ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিকটন। ২০২০–২০২১ অর্থবছরে তা ৫ লাখ ৮৯ হাজার মেট্রিকটনে উন্নীত হয়।
ইলিশ সংরক্ষণে সচেতনতা ও নীতি সহায়তা আরও বাড়ানো হলে, ইলিশ উৎপাদন বহু গুণ বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
এসএ/দীপ্ত নিউজ