হু হু করে বেড়ে বিশ্ববাজারে বেড়েই চলেছে স্বর্ণের দাম। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন ইতিহাস। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাণিজ্য সংকট এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণে ঝুঁকছেন। তাই দাম উঠেছে নতুন উচ্চতায়।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, সোমবার প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ৪ হাজার ১০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
এ দিন বিকালে স্পট স্বর্ণের দাম ২.২% বেড়ে প্রতি আউন্স ৪, ১০৬.৪৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ডিসেম্বর মাসের জন্য মার্কিন স্বর্ণের ফিউচার ৩.৩% বেড়ে ৪,১৩৩ ডলারে স্থির হয়েছে। নতুন করে মার্কিন–চীন বাণিজ্য উত্তেজনা এবং মার্কিন সুদের হার কমানোর প্রত্যাশার ফলে স্বর্ণে চাহিদা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে। অন্যদিকে রুপাও সর্বকালের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে।
কেবল সোমবার স্বর্ণের দামে কয়েক বার বড় পরিবর্তন ঘটে। দুপুর ১টার দিকে স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৬৭ দশমিক ৭৯ ডলারে লেনদেন হয়েছে। সেশনের শুরুতে এটি সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৭৮ দশমিক ৫ ডলারে পৌঁছায়। বিকাল নাগাদ দাম বেড়ে আগের সব রেকর্ড ভাঙে মূল্যবান ধাতুটি।
পাশাপাশি ফিউচার মার্কেটেও ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে স্বর্ণের দাম। এই বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৯৩ দশমিক ৫০ ডলারে।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩০ ডলার বেড়ে ৪ হাজার ১৫৮ ডলারে উঠেছে। বিশ্ববাজারে এর আগে কখনো এক আউন্স সোনার দাম এতো হয়নি।
ব্লু লাইন ফিউচার্স, প্রধান বাজার কৌশলবিদ ফিলিপ স্ট্রেইবল বলেন, স্বর্ণের দাম সহজেই তার ঊর্ধ্বমুখী গতি অব্যাহত রাখতে পারে। ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ আমরা ৫,০০০ ডলারেরও বেশি দাম দেখতে পাব।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত জুলাই মাসে থেকেই বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ছে। তবে গত ২ মাসে দাম বাড়ার পাল্লায় নতুন করে হাওয়া লেগেছে। দুই মাসের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৮০০ ডলারের বেশি।
এসএ