দেশে দেশে নানা আনুষ্ঠানিকতায় উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব– বড়দিন। মধ্যরাত থেকেই শুরু হয়েছে উদযাপন।
রীতি অনুযায়ী দিনের প্রথম প্রহরে বড়দিনের মূল আয়োজন শুরু হয় যিশুর জন্মস্থান– ফিলিস্তিনের বেথলেহেমে। নেটিভিটি চার্চে ল্যাটিন ধর্মগুরু পিয়েরবাতিস্তা পিজ্জাবেলার নেতৃত্বে হয় বিশেষ প্রার্থনা।
তবে যিশুর জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত ফিলিস্তিনের বেথেলহেমে ছিল না তেমন কোনো আয়োজন। চলমান হামাস ইসরাইল যুদ্ধের কারণে বাতিল করা হয়েছে এবারের আয়োজন।
গাজার পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের খুব বড় আয়োজন নেই বড়দিনের। ঘরোয়াভাবেই উৎসব করছেন অনেকে। শত্রুদের হারিয়েই বড় দিনের উৎসবে মাতবে ইউক্রেনবাসী বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ভ্যাটিক্যান সিটিতে ক্রিসমাসের বড় আয়োজন ছিল সেইন্ট পিটার্স ব্যসিলিকায়।
সেখানে প্রার্থনা করেন খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু– পোপ ফ্রান্সিস। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ যোগ দেয়। যুদ্ধ শেষ ও বিশ্ব শান্তি কামনা করেন পোপ।
বড়দিন উপলক্ষে উৎসবে মাতেন গ্রিসবাসী। এথেন্স সিটি হলের সামনে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় ও পর্যটকরা ফুানস উড়িয়ে সময়টা স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করেন।
এদিকে, প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটনের আমন্ত্রণে বড়দিনের আয়োজনে অংশ নেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা। উৎসবের এই দিনটি ঘিরে কনসার্টের আয়োজন করা হয়, যেখানে গান পরিবেশন করেন বিখ্যাত শিল্পীরা। আর এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রিন্স উইলিয়ামসসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
এ ছাড়া এশিয়া ও আফ্রিকারসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে বড়দিন।
এসএ/দীপ্ত নিউজ