এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত আলোচিত বিষয় অফসাইড রিভিউ। প্রতি ম্যাচেই গোল হওয়ার পর অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বেশকিছু সময়। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এরইমধ্যে বাদ হয়েছে অনেক গোল।
পূর্বের বিশ্বকাপ গুলোতে লাইন্সম্যান পতাকা তোলার পরে অনেক আক্রমণই থেমে যেত। কিন্তু এবার গোল উদযাপনের পরও তা বাদ যাচ্ছে। এর মূলে রয়েছে ‘সেমি-অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি’। এই প্রযুক্তির কারণে এবারের বিশ্বকাপে গোল হওয়ার পরও অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে অফসাইড প্রিভিউয়ের।
পাশাপাশি রয়েছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভি এ আর। প্রতিটি স্টেডিয়ামের ছাদের নিচে বসানো আছে ১২টি ট্র্যাকিং ক্যামেরা। এগুলো ম্যাচের বল এবং প্রতি খেলোয়াড়ের ২৯টি ডেটা পয়েন্টের ওপর নজর রাখে। তাদের সঠিক অবস্থানের সিগন্যাল ডেটা প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার করে পৌঁছে যায় ম্যাচ কর্মকর্তাদের কাছে।
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বাদ যায়নি খেলার বলও। আল রিহলা নামের বলটির ভেতরে আলাদা মোশন সেন্সর বসানো আছে। এই সেন্সর প্লেয়ারের হাত-পায়ের অবস্থানের তথ্যের সঙ্গে বলের মোশন সেন্সরের ডেটা সমন্বয় করে তাৎক্ষণিকভাবে ‘ভিডিও অপারেশন রুম’-এর কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেয়।
বিশ্বকাপের আগে লাইন্সম্যানদের প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করতে বিশেষ প্রশিক্ষণও দিয়েছে ফিফা।