জাতীয় নির্বাচনের ডামাডোলের কারণে বিসিবি পূর্বের কমিটির চেয়েছিলো এবছরের বিপিএল দেরিতে করা কিংবা না করার। বোর্ড নির্বাচিত সভাপতি হয়েই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নতুন পরিচালক কমিটি জানায়, ডিসেম্বরেই শুরু হবে দেশের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আয়োজন বিপিএল।
টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিদেশি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান আইএমজিকে। তাদের সঙ্গে আপাতত তিন বছরের চুক্তি করেছে বিসিবি। আগামী আসরসহ পাঁচ বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্বাধিকার দিবে বিসিবি। যেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি দল চূড়ান্ত হলে প্লেয়ার্স ড্রাফট ১৭ নভেম্বর হবে বলে জানা গেছে। আসন্ন বিপিএল আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি টাকা।
বিসিবির ব্যাপক আলোচিত নির্বাচনের পার হয়েছে মাত্র এক সপ্তাহ। নতুন বোর্ডে সামনে প্রথম চ্যালেঞ্জ বিপিএল। একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি দল নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করায় যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিলো, তা কাটতে শুরু করেছে। সব বাধা পেরিয়ে বিপিএলের ১২তম আসর আয়োজনের প্রায় সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বোর্ড।
দ্বাদশ আসরে বিজ্ঞাপনে ন্যূনতম পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কথা বলা হলেও টুর্নামেন্টকে আকর্ষণীয় করার স্বার্থে দলের সংখ্যা ছয়টি করা হতে পারে। এবার ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে দুই কোটি টাকা। সমপরিমাণ ব্যাংক জামানত আবেদনপত্রের সঙ্গে দিতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। প্রতিবছর ১৫ শতাংশ হারে ফি বাড়বে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ব্যাংক গ্যারিন্টি দিতে হবে ১০ কোটি টাকা।
বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে দুই কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর রানাসআপ দল পাবে এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা। শুধু তাই নয় টিকিট বিক্রি, টিভি রাইটস, গ্রাউন্ড ব্র্যান্ডিং থেকে বিসিবির আয়ের ৩০ শতাংশ অর্থ ভাগ করে দেয়া হবে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মাঝে। এছাড়াও প্রতি ম্যাচ ডে‘তে মাঠে নিজেদের স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রর্দশনের সুযোগ পাবে ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি।