বিজ্ঞাপন নির্মাতা তারেক মাহমুদ সুমন পরিচালিত একটি বিশেষ সিএসআর বিজ্ঞাপনচিত্র বিশ্ব টয়লেট দিবসে ডোমেক্স এবং ভূমিজোর যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে। ‘পাবলিকের টয়লেট হোক বন্ধ’ শিরোনামের এই ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশের শহুরে এলাকায় রাস্তার পাশে প্রস্রাব করার সমস্যার প্রতি আলোকপাত করে।
এই ক্যাম্পেইনটি মার্কেটিং এজেন্সি এফসিবি বিটোপির মস্তিষ্কপ্রসূত এবং তা বাস্তবায়ন করেছে তারেকের প্রোডাকশন হাউজ, সেন্টারব্যাক প্রোডাকশনস।
তারেক মাহমুদ সুমন তার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘লোকেশন রেকি থেকে শুরু করে শুটিং পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় এ সমস্যা স্পষ্ট—পাবলিক টয়লেট ব্যবহার না করে রাস্তার পাশে প্রস্রাব করার অভ্যাস আমাদের শহরগুলোর সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য দুটোই নষ্ট করছে।’
শুটিংয়ের সময় ঘটে যাওয়া একটি মজার কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি গ্রাফিতি সেট তৈরি করেছিলাম যেখানে শিল্পীরা অভিনয়ের জন্য প্রস্রাব করবে। কিন্তু শুটিং চলাকালীন একজন বহিরাগত সেটটিকে আসল মনে করে সেখানে প্রস্রাব করে বসে! এটি আমাদের শহরের একটি স্বাভাবিক অভ্যাসের পরিচয় দেয়।’
বিজ্ঞাপনচিত্রটি শক্তিশালী ভিজ্যুয়াল এবং একটি তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা বহন করে, যা এই আচরণের কুপ্রভাব তুলে ধরে এবং পরিচ্ছন্ন ও ব্যবহারযোগ্য পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের উপর জোর দেয়। ‘পাবলিকের টয়লেট হোক বন্ধ’ স্লোগানটি নাগরিক দায়িত্ব এবং শহরের পরিবেশ উন্নত করার আহ্বান জানায়।
তারেক মাহমুদ সুমন, যিনি তার সৃজনশীল এবং সমাজ সচেতন কাজের জন্য পরিচিত, এই প্রজেক্টটিকে নিজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন। ‘এই প্রজেক্টটি শুধু একটি ক্যাম্পেইন নয়, এটি একজন নির্মাতা হিসেবে আমার জন্য চোখ খুলে দেওয়া একটি কাজ। গল্পের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের জন্য এটি একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’, তিনি বলেন।
ডোমেক্স এক্স ভূমিজোর এই উদ্যোগ, এফসিবি বিটোপি এবং তারেক মাহমুদ সুমনের সৃজনশীল দিকনির্দেশনায়, ইতোমধ্যেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি শহরের পরিচ্ছন্নতা এবং নাগরিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
এই ক্যাম্পেইন তারেক মাহমুদ সুমনের আরেকটি সাফল্যের উদাহরণ, যেখানে তিনি সৃজনশীলতাকে সমাজ পরিবর্তনের জন্য একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
আল