গাজীপুর–টঙ্গী–উত্তরা–বিমানবন্দর করিডোরে ২০.৫০ কিলোমিটার বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) লাইনের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। একাংশের উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রকল্পের অপর অংশ হাউজ বিল্ডিং থেকে চেরাগআলী পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড ফ্লাইওভারও ঈদুল আজহার আগে খুলে দেওয়া হয়েছে ।
শনিবার (১৭ জুন) সকালে ঈদ সামনে রেখে এটি খুলে দেয়ায় এ মহাসড়কে চলাচলকারীদের ভোগান্তির অবসান হবে, যাতায়াতে ফিরবে স্বস্তি।
জানা গেছে, আরামদায়ক, ব্যয়সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব, আধুনিক, টেকসই ও নিরাপদ নগর পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গাজীপুর–টঙ্গী–উত্তরা–বিমানবন্দর করিডোরে বিআরটি লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। হাউজ বিল্ডিং থেকে চেরাগআলী পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড ফ্লাইওভার ও সেতু। এর মধ্যে সাড়ে তিন কিলোমিটার ছয় লেনের সড়ক। এক কিলোমিটার দুই লেনের সড়ক। ছয়টি এলিভেটেড স্টেশন ও একটি ১০ লেনের টঙ্গী সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এ রুটে চলাচলের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে কেনা হবে ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাস। এসব গাড়ি কখনো মাটি ঘেঁষে আবার কখনো এলিভেটেড সড়কে চলাচল করবে। এ র্যাপিড ট্রানজিট লাইন চালু হলে দুর্ভোগের ঢাকা–গাজীপুর সড়ক মাত্র ৪০ মিনিটেই পাড়ি দেওয়া যাবে। এ রুটে বাস মিলবে দেড় থেকে তিন মিনিট পরপর।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক বলেন, ‘সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনা রয়েছে, যাতে ঈদের আগেই বিআরটি লেনের কিছু অংশ খুলে দেওয়া হয়। নির্দেশনার আলোকে প্রকল্প–সংশ্লিষ্টরা এজন্য রাত–দিন নিরলস পরিশ্রম করছেন। আশা করছি, দ্রুত উত্তরার জসিমউদ্দীন সড়কের অংশ ও বিমানবন্দর সড়কের উভয়পাশ খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড ফ্লাইওভারও খুলে যাবে। ঈদের আগে এ সড়কে চলাচলে কষ্ট থাকবে না। বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী সহজেই যাতায়াত করা যাবে।
জাহাঙ্গীর আলম/এমি/দীপ্ত নিউজ