জলবায়ু পরিবর্তন ও বিভিন্ন মানবসৃষ্ট কারণের ফলে বিশ্বেজুড়ে বায়ুদূষণের মাত্রা দ্রুত বাড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণ তালিকার শীর্ষস্থানীয় শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালেও এই মেগাসিটির বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল।
আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ২৫৪, যা বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর মধ্যে এটিকে প্রথম স্থানে রেখেছে। একই সময়ে ২০৪ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, ২০১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে পাকিস্তানের লাহোর, ১৯৮ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার রাজধানী সারায়েভো এবং ১৯৫ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ হলে সেটিকে ‘ভালো’ ধরা হয়, ৫১ থেকে ১০০ হলে ‘মাঝারি’, ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ এবং ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত স্কোর থাকলে সেটি ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ বা তার বেশি হলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে গণ্য করা হয়, যা নগরবাসীর জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে যানবাহনের অতিরিক্ত ধোঁয়া, অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলা নির্মাণকাজ, শিল্পকারখানার দূষণ এবং আবর্জনা পোড়ানোর প্রবণতা। এসব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে দূষণের মাত্রা আরও বাড়বে এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে নগরবাসীর স্বাস্থ্যে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের বাড়ির বাইরে কম বের হতে। বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।