শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

বাবার মৃত্যুর পর মেয়ের আত্মহত্যা

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাবার রহস্যজনক মৃত্যুর আধাঘন্টা পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে তিশা দে ।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে বুধবার (৫ জুন) সকালে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে নোয়াখালীর পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- নোয়াখালীর পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে (৫০) ও তার মেয়ে তিশা দে (১৯)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নরেশ চন্দ্রের মেয়ে কলেজে পড়াকালে একটি মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। বিষয়টি তার বাবা জানতে পেরে তাকে ফেনী থেকে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ নিয়ে মেয়েকে তার স্বামীর সাথে সম্পর্ক না রাখার জন্য বুঝানো হয়। কিন্তু মেয়ে তার স্বামীর পক্ষে অনড় ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের ছোট ছেলে বাবার কাছে টাকার জন্য গেলে তার নিথর দেহ কক্ষে পড়ে থাকতে দেখে। তিশা বাবার এ অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে একটা কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে তার মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, নরেশ কিডনি রোগী ছিলেন। বাসায় ডায়ালাইসিস করতেন। তার মেয়ে ফেনী মেডিকেল কলেজে পড়তো। সেখানে একজন মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। এজন্য মেয়েকে ফেনী থেকে নিয়ে আসেন।

ওসি বলেন, এরপর মেয়েকে সারা রাত বুঝানোর চেষ্টা করেন। মেয়ে নাছোড় বান্দা। এ নিয়ে চিল্লাচিল্লি করে স্ট্রোক করে মারা যান তিনি। পরবর্তীতে বাবার মৃত্যুর আধাঘন্টা পর মেয়ে গিয়ে আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

 

খায়রুল/ সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More