বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম ব্যবহার কোরে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে, ‘ওয়েলএক্স পে‘ নামের বিদেশি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে টাকা দিয়ে খবরও ছাপিয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওয়েলএক্স পে নামে কেউ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেনি। গ্রাহক সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
উদ্যোক্তাদের দাবি, ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে তারা। সদস্য সংখ্যা এক লাখের বেশি, আর ১ হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসা আছে তাদের। কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায়।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে দাবি করা হয়েছে, ওয়েলএক্স পে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেয়েছে। বিকাশ, নগদ, রকেটসহ দেশের প্রায় সব বড় মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতার সঙ্গে চুক্তি আছে তাদের। তবে সবচেয়ে বেশি চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে, বিভিন্ন অনলাইন জুয়া ও বিদেশি মুদ্রার লেনদেন বিষয়ে। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দুস্তান টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়াতে টাকার বিনিময়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রতারক চক্রটি দাবি করেছে, পেমেন্ট সার্ভিস অপারেশন–পিএসও লাইসেন্স পেয়েছে তারা।
কেবল বাংলাদেশ ব্যাংকের নামেই জালিয়াতি নয়, বাংলাদেশি গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জনে তথ্য প্রযুক্তি উদ্যোক্তা সোনিয়া বশির কবিরকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা দাবি করেছে ওয়েলএক্স পে কর্তৃপক্ষ।
গ্রাহকদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রতারক চক্রটির কবল থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইআইউ‘র মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হলেন মর্তুজ আলী
আল / দীপ্ত সংবাদ